
মির্জাপুরে আনাইতারা ইউনিয়নের চামারী ফতেপুর গ্রামে ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এটি যেন নামেই একটি কলেজ। কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে। একাদশে চার শিক্ষকের জন্য রয়েছে একজন শিক্ষার্থী। এইচএসসি প্রথম ব্যাচের ১৮ জনের সবাই ফেল করেছেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে ফতেপুর ময়নাল হক উচ্চ বিদ্যালয় একাদশ শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি পায়। ৫ হাজার টাকা করে বেতনে ৬ জন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হয়। বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয় কলেজ শাখার পাঠদানের জন্য। প্রথম ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় ২২ জন। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করা। সেখান থেকে চারজন অন্যত্র চলে গেলে ১৮ জন নিয়ে চলে পাঠদান। এক বছর পরে দুই শিক্ষক চাকরি ছেড়ে চলে যান। ফলে ইংরেজিসহ আরও গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের শিক্ষক ছাড়াই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকে পাঠদান কার্যক্রম। কলেজ শাখায় উল্লেখযোগ্য আয় না থাকায় শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয় স্কুল শাখার আয় থেকে। বর্তমানে কলেজ শাখার শিক্ষকদের পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া। দ্বিতীয় ব্যাচে ২৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তৃতীয় ব্যাচে অর্থাৎ চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। একা ভালো না লাগায় ওই শিক্ষার্থী অন্যত্র চলে যেতে চাচ্ছে বলে জানা গেছে।